Nest Logo
Home > Blog>ব্রয়লার খাচ্ছেন নাকি ক্যান্সার?

ব্রয়লার খাচ্ছেন নাকি ক্যান্সার?

November 2, 2023zikrulDairy
ব্রয়লার খাচ্ছেন নাকি ক্যান্সার?

গবেষণায় দেখা গেছে কনভেনশনাল ব্রয়লার চিকেনে হেভি মেটালের উপস্থিতি মারাত্মক বেশী যা মানবশরীরে প্রবেশ করলে ২৫% ক্যান্সার ও ৪২% অন্যান্য রোগের ঝুঁকি থাকে। ( রেফারেন্স নিউজ লিংক- https://bonikbarta.net/home/news_description/280210/ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (IARC) দ্বারা হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম যৌগগুলিকে গ্রুপ 1 কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এর মানে হল যে তারা মানুষের মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

লেডকে গ্রুপ 2A ​​কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এর মানে হল যে সীসা সম্ভবত মানুষের জন্য কার্সিনোজেনিক বলে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সীসার এক্সপোজার কিডনি ক্যান্সার এবং ফুসফুসের ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সাথে যুক্ত। ক্যাডমিয়ামকে গ্রুপ 1 হিউম্যান কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাটারি উত্পাদন, খনির এবং ধাতব ঢালাইয়ের মতো শিল্পে ক্যাডমিয়াম ধোঁয়া এবং ধুলোর পেশাগত এক্সপোজারের কারণে এটি বিভিন্ন ক্যান্সারের সাথে যুক্ত হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ফুসফুসের ক্যান্সার। উপরন্তু, দূষিত খাবার বা জলের উত্সের মাধ্যমে ক্যাডমিয়ামের দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজার ক্যান্সারের ঝুঁকিতে অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে কিডনিতে। 

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির তথ্যমতে, দেশে এখন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। প্রতিবছর এ সংখ্যার সঙ্গে আরও ৩ লাখ রোগী নতুন করে যোগ হচ্ছে। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকলেও হেভিমেটালের প্রাদুর্ভাব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।এরপরে আসা যাক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সির বিষয়ে।অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স কীযদি কারও শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ হয় এবং সেই রোগ নিরাময়ে কেউ যদি চিকিৎসকের পরামর্শমত সঠিক পরিমাণে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ না করেন তাহলে ব্যাকটেরিয়াগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হয়ে উল্টো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠততখন এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ওই অ্যান্টিবায়োটিক পরে আর কাজ করে নাঅ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পরেও ব্যাকটেরিয়ার এই টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জনকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলা হঅ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ২৬ আগস্ট,২০২৩ তারিখে দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ এলাকায় ব্লু পিয়ার মিলনায়তনে সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশের (এসওএসবি) নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সাইন্টিফিক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘অ্যান্টিবোয়োটিক যে শুধু সার্জনরা বা ফিজিসিয়ানরা ব্যবহার করছেন, তা নাএ অ্যান্টিবায়োটিক এখন কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি মশার লার্ভা মারতেও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আগামী ২০ বছরে ক্যান্সারের চেয়েও বেশি রোগী মারা যাবে। এর জন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানভাবে দায়ী।


এবার নিচে একটা রিপোর্ট শেয়ার করছি। এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন এই ৬ বছর বয়সী ছোট্ট সোনামণির বাবা নিজেই। এই ৬ বছর বয়সেই মেয়েটি ১২ প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে গেছে। অর্থাৎ ১২ প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক তার শরীরে আর কাজ করবে না।


এর সবগুলো কারণ যে শুধু তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে এমন না,কেননা মেয়ের বাবা নিজেও একজন চিকিৎসক। বরং এটা খাবার ও পরিবেশ থেকেও এসেছে।তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সি থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে আমরা বলছিই না শুধু আমাদের কাছ থেকেই নিতে হবে,তবে যেখান থেকেই নিন না কেন অ্যান্টিবায়োটিক ও হেভিমেটাল মুক্ত নিরাপদ মুরগি বা ডিম নিন।কেননা নিশ্চয়ই আপনিও চাইবেন আপনার সোনামুণির ভবিষ্যতটা যেন নিরাপদ হয়।